
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা : চাঁদপুর জেলার বহু মেধাবী মানুষ ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত। এক সময় ৫জন মন্ত্রী পেয়েছিল চাঁদপুর। প্রধানমন্ত্রীও পেয়েছে চাঁদপুর। তবে সেই অনুযায়ী স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে চাঁদপুরে সেভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এটা চাঁদপুরবাসীর জন্য দুর্ভাগ্য। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম।
সাইফুল আলম আরও বলেন, চাঁদপুরের এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের মতো দু-একটি সংগঠন জরুরি। আসুন সকলে মিলে আমাদের মাটির (চাঁদপুর) প্রতি যে দ্বায়বদ্ধতা আছে সেটা পূরণ করি। এবং পেশাজীবী হিসেবে ঢাকায় যারা আছি তারা যেন শক্ত মাটির উপর সাংবাদিকতা করতে পারি সেই চেষ্টা করি।
সাইফুল আলম আরও বলেন, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকায় অবস্থারত চাঁদপুরের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধের সূচনা স্থল। সাংবাদিকতার পেশাগত অবস্থান থেকে আমাদের লেখনির মাধ্যমে চাঁদপুরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির চোখে আঙুল দিয়ে আমরা দেখিয়ে দেব, চাঁদপুরবাসীর জন্য এই কাজগুলো করা দরকার। আমরা আধুনিক ও দুর্নীতিমুক্ত চাঁদপুর চাই। চাঁদপুরের মানুষেরা যেন হয়রানির শিকার না হয়, অত্যাচারিত না হয়। আমরা সেই প্রত্যাশা করি। এই প্রত্যাশায় যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
মিজান মালিকের সভাপতিত্বে ও এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ার পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ভূমি সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সম্পাদক মঈনুল আলম, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার। এ সময় ফোরামের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, চাঁদপুরকে মেঘনার গ্রাস থেকে রক্ষা করতে বাঁধ নির্মাণ, বালু সন্ত্রাসদের রুখে দেয়া, জেলার বাসিন্দাদের দুর্ভোগচিত্র লেখনির মাধ্যমে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।
সভাপতি মিজান মালিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, চাঁদপুর নামটাই বেশ সুন্দর। কিন্তু চাঁদপুরে বর্তমানে রাস্তাঘাট ভাঙা, ভালো কোনো পর্যটন কেন্দ্র নেই। পত্রিকায় চাঁদপুরের এসব দুর্ভোগ নিয়ে লিখতে পারি আমরা। আমাদের এসব লেখনি সংশ্লিষ্টদের চোখে পড়লে চাঁদপুরের সেসব দুর্দশা দূর হবে। আমরা গর্বিত যে নদী রক্ষায় অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামই সবার প্রথম আওয়াজ তুলে। চাঁদপুর রক্ষায় এ আন্দোলন আরো শক্তিশালী হওয়া উচিত।
সম্পাদক এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ বলেন, চাঁদপুরের উন্নয়ন, সড়ক সংস্কার, আধুনিকায়নসহ সদস্যদের পেশাগত উন্নয়নে কাজ করবে এই ফোরাম। সেই সাথে চাঁদপুরের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং শহর রক্ষায় কাজ করবে ফোরাম।