
বিশেষ প্রতিনিধি: নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় নৌপথের উন্নয়নে দৃষ্টি রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আমরা কাজগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’ গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের আগে দেশে ড্রেজার ছিল ৮টি। গত ১৩ বছরে আমরা ৪৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছি। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নদী খনন করা। এখন পর্যন্ত সাত হাজার কিলোমিটার খনন হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি খনন করা হবে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা নৌবন্দরগুলো আধুনিক করতে কাজ করে যাচ্ছি। চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও ভোলায় বন্দর উন্নয়নে কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালীসহ বেশ কিছু বন্দরের কাজ আপডেট করেছি। এখন চাঁদপুর থেকে সদরঘাটে গেলে আগের চেয়ে অনেক সুন্দর পরিবেশ পাওয়া যায়।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নানা কারণে চাঁদপুর নৌবন্দর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজ অনুষ্ঠানে যাঁরা বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁরা অনেকেই চাঁদপুরের আগের ও বর্তমান বন্দরের ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। এখানে রেলপথ, সড়কপথসহ সার্বিক সুবিধা আছে। আপনাদের দাবি, এখন একটি আধুনিক নৌবন্দর করার। ইতিমধ্যে এই কাজ অনেক এগিয়েছে। চাঁদপুরে একটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দর নির্মাণ করা হবে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরের নৌ সীমানায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করে বালু তোলা হয়েছে। কিন্তু সেটি আর করতে দেওয়া হবে না। স্থানীয় প্রশাসন ড্রেজিং করা বন্ধ করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে নিয়ম মেনে ড্রেজিং করা হবে। অনিয়ম করে কেউ ড্রেজিং করতে পারবে না। বালু উত্তোলনকারী যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন সময় নৌ দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা এর বেশ কয়েকটি কারণ বের করেছি। এগুলো নিয়ে নানা ধরনের কাজ চলছে। এ ছাড়া নিরাপদ নৌযান তৈরি ও নাবিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি মেরিন একাডেমি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসময় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ জেলাপ্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস উপস্থিত ছিলেন।