
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জে বোনের সম্পত্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ভাই আব্দুর রব। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিস হলেও সম্পত্তি না দেওয়ার পায়তারা করছেন আব্দুর রব। উল্টো পুত্র বধূকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মামলা দেওয়ার হুমকী দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রজ্জবের নেছা গং।
উক্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার উভয় পক্ষের মধ্যে ঝড়গার সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় আব্দুর রব পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ কল দিয়ে থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। পুলিশ বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামের মৃত খাজা আহম্মদের এক ছেলে (আব্দুর রব) দুই মেয়ে (রজ্জবের নেছা ও রুমের নেছা)। খাজা আহাম্মদ মারা যাবার পর তার ছেলে আব্দুর রহমান তার বোন রুমের নেছার সমস্ত সম্পত্তি কিনে নেন বলে জানা যায়। আর একই কারনে বিএস খতিয়ানে রুমের নেছার নাম নেই। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে নানান টালবাহানায় আব্দুর রব তার অপর বোন রজ্জবের নেছার সম্মত্তি ভোগ দখল করে আসছে। রজ্জবের নেছা, তার স্বামী, সন্তান এবং নাতীরা বিভিন্ন মাধ্যমে আব্দুর রবকে বলার পরও তিনি তাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। অবশেষে ৩০ আগস্ট রজ্জবের নেছার ছেলে এবং নাতীরা রাষ্ট্র এবং শরীয়া আইন মতে তাদের ভূমিতে গাছের চারা লাগিয়ে বেড়া দেয়। পরে আব্দুর রব গংরা তার বোনের সম্পত্তির বেড়া ভেঙ্গে সমস্ত গাছের চারা উপড়ে ফেলে। এবং উল্টো তাদেরকে মামলা দেওয়ার হুমকী দুমকী দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে রজ্জবের নেছার নাতী মো.শরীফ বলেন, কাগজপত্রে বিষয়টি পরিস্কার ওয়ারীস সূত্রে জাগার মালিক আমরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আমরা কাগজ মতে আমাদের জমিতে গাছ লাগিয়ে বেড়া দেই। কিন্তু তিনি আমাদের বেড়া ভেঙ্গে গাছা উপড়ে পেলেন। আমাদেরকে বিভিন্ন মামলা দেওয়ার হুমকী দেন। সেই সাথে বিভিন্ন মিথ্য অপবাদ দিচ্ছেন।’
আব্দুর রব সাংবাদিকদের বলেন, রজ্জবের নেছা কোনো সম্পত্তি পাবেন না। সিএসএ তার নাম নেই, কিন্তু বিএসএ আছে।
এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন, মারামারি কোনো ঘটনা ঘটেনি। শরীফ গংরা গাছ লাগিয়ে বেড়া দিয়েছে, আব্দুর রবের পরিবার পরে এসে বেড়ে ভেঙ্গে সমস্ত গাছ উপড়ে পেলে দেয়।
উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন তপাদার বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যান আমাকে জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখলাম এবং জানলাম। আব্দুর রবকে বলেছি বিষয়টি নিয়ে আর যাতে বাড়াবাড়ি না করে। কাগজে যদি আপনার বোন জায়গার মালিক হয় তাহলে তাকে অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এস.আই বরকত উল্যাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৯৯৯ নাম্বারে কল পাওয়ার পর সেখানে যাই। গিয়ে দেখলাম জমি নিয়ে বিরোধ। তাদেরকে কোর্টে গিয়ে এর সমাধান করে আসার পরামর্শ দেই। যে কল দিয়েছি তাকে বলেছি তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় এসে দেয়ার জন্য।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।